Government Barisal College, Barishal

Government Barisal College, Barishal

Average Reviews

About Us

সরকারি বরিশাল কলেজ পরিচিতি ধান, নদী, খাল এই তিনে বরিশাল। অনেক জ্ঞানী, গুনী, সংগ্রামী মানুষের পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত এই বরিশাল। বঙ্গোপসাগরে পলিমাটি বিধৌত বাংলার এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সুদুর অতীত কাল থেকে যেমন ঝঞ্জা বিক্ষুদ্ধ নদীর উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে শক্ত হাতে বৈঠা চালিয়েছে অন্যদিকে বন্য জীব জানোয়ার হিং¯্র প্রাণীর বিরুদ্ধে সাহসের সাথে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে বীরত্বের সাথে টিকে আছে। দয়া, মায়া, মানব প্রেম, ঈশ্বর প্রেম এখানকার মানুষের জীবনবোধ ও মূল্যবোধেরই অংশ। ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর বাংলার দেওয়ানী চলে যায় ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে। প্রথমে বাড়ইকরণ জেলা সদর স্থাপন করা হয়। বাড়ইকরণ থেকে বাকেরগঞ্জ অত:পর ১৮০০ সালে বর্তমান বরিশাল শহরে জেলা সদর স্থানান্তর করা হয়। শুরুতে বরিশাল জেলার আয়তন ছিল দক্ষিণ পূর্বে সন্দীপ, উত্তরে বর্তমান মাদারিপুর ও শরীয়তপুর জেলা, পশ্চিমে রূপসা নদীর পূর্বপাড় অর্থাৎ বাগের হাট জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। বিশাল আয়োতনের বরিশাল জেলা আজ আর পুরানো সীমানায় নেই। বরিশাল জেলা শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত সরকারি বরিশাল কলেজটি আজ সভ্যতার ইতিহাসের অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে ৫৭ (সাতান্ন) বছর পাড় করে এ অঞ্চলের মানুষের সম্পদে পরিনত হয়েছে। নাইট কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু হলেও কলেজটি আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রী পাস, ¯œাতক সম্মান ও ¯œাতকোত্তর (পোষ্ট গ্রাজুয়েট) কোর্স সম্বলিত কলেজটিতে বর্তমানে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ১৯৬৩ সালে কয়েকজন পেশাজীবি অদম্য তরুন বরিশালের সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে চলেছেন। উদ্দেশ্য একটাই, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি নৈশ কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। অবশেষে সাড়া মিলল। এগিয়ে এলেন কিছু বিত্তবান, শিক্ষিত, উদ্যমী ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় প্রশাসন। গঠন করা হলো নাইট কলেজ অর্গানাইজিং কমিটি। অর্গানাইজিং কমিটি ১। জনাব এ.এস.নুর মোহাম্মদ সি এস পি, ডেপুটি কমিশনার, বরিশাল সভাপতি ২। জনাব আবদুর রহমান বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট (সাবেক রাষ্ট্রপতি) সেক্রেটারী ৩। জনাব খান মো. মোফাজ্জল হক, এ্যাডভোকেট সদস্য ৪। জনাব নুরুল ইসলাম সিকদার, এ্যাডভোকেট সদস্য ৫। জনাব সৈয়দ হাতেম আলী সদস্য ৬। জনাব বাবু ক্ষীতিশ চন্দ্র চক্রবর্তী সদস্য ৭। শ্রী সুধীর চন্দ্র চক্রবর্তী, এ্যাডভোকেট সদস্য ভোলা চরফ্যাশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল হক সাহেব ছিলেন প্রতিষ্ঠা অধ্যক্ষ। বরিশাল নাইট কলেজ প্রতিষ্ঠায় তারুণ্যের মধ্যে সবচেয়ে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছিলেন জনাব ইউসুফ আলী মোল্লা, রাশিদুল আলম, শহীদুল্লাহ, জালাল আহমেদ, আবদুল আউয়াল, শাহ আলম, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন, মতিয়ার রহমান ও আবদুল লতিফ প্রমুখ। বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জনাব আব্দুল কাইউম ঠাকুর এই নাইট কলেজেরই প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৩ সালের ০২ সেপ্টেম্বর বিএম স্কুলের হল রুমে দি বরিশাল নাইট কলেজের যাত্রা শুরু। হ্যারিকেনের আলোতে সন্ধ্যার পর কলেজের কার্যক্রম শুরু হতো। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একযোগে শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক ও ¯œাতক শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম। প্রথম বছর ভর্তি হয় ২৮৮ জন শিক্ষার্থী। পরের বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএম স্কুলের কম্পাউন্ডে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। কলেজে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের সাথে বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী জয়ন্ত কুমার দাশ গুপ্ত এবং নরেণ বাবু স্যার ও কলেজ শাখায় ক্লাশ নিতেন। কলেজের জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন অপরিহার্য হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ বিএম স্কুলের শিক্ষক নরেণ বাবুকে কোলকাতা প্রেরণ করেন। উদ্দেশ্য অশ্বিনী কুমার দত্তের পরিত্যাক্ত বাড়িটি যাতে কলেজের নামে দান করে দেন অথবা কলেজের অনুকুলে বিক্রি করেন। অশ্বিনী কুমার দত্তের মৃত্যুর পর তদীয় ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রী সরল দত্ত স্ব-পরিবারে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। ১৯৫০ সালের পর পর সরল দত্ত স্ব-পরিবারে কোলকাতা চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। সরল দত্ত চলে যাবার পর অশ্বিনী ভবনটি বিএম কলেজের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে তৎকালিন জেলা প্রশাসক এ টি এম শামছুল হক সি এস পি একটি সুন্দর সমাধান দেন। তিনি হোষ্টেলে অবস্থানরত ছাত্রদের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে জালিয়াবাড়ি পুল সংলগ্ন সুরেন্দ্র ভবনে (ইন্দো বাংলা) স্থানান্তর করে ভবনটি নাইট কলেজের নামে লীজ দেন। অত:পর জেলা প্রশাসক সাহেব অশ্বিনী ভবনসহ সমূদয় সম্পত্তি ১.৪৭ (এক একর সাতচল্লিশ শতাংশ) একর জমি সর্ব্বোচ্চ মূল্যে ৪০,২৯৫.২৫ (চল্লিশ হাজার দুইশত পঁচানব্বই টাকা পঁচিশ পয়াসা) টাকায় একুইজশন করে নাইট কলেজের অনুকুলে লিখে দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উক্ত টাকা পরিশোধ করে জমি ও ভবনের স্বত্ত¡ বুঝে নেন। কলেজ গভার্নিং বডির সদস্য, কিছু দানশীল ব্যক্তি যাদের মধ্যে ছিলেন জনাব হাসান ইমান চৌধুরী, জনাব জালাল আহমেদ কন্ট্রাকটর, জনাব আঃ আজিজ কন্ট্রাকটর, জনাব গোলাম মাওলা, হাজী আদম আলী, সৈয়দ হাতেম আলী প্রমূখদের আর্থিক সহায়তায় কলেজের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ভবন ও সরঞ্জামাদি তৈরি ও নির্মান কাজ শুরু হয়। ১৯৬৬ সালের এপ্রিল মাসে বি এম কলেজের ছাত্ররা সুরেন্দ্র ভবনে চলে যাবার পর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অশ্বিনী কুমার দত্তের ভবনটি কলেজের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। চুন সুড়কীর গাঁথা দ্বিতল ভবনটি জরাজির্ণ হয়ে পড়ায় অফিস ভবন বর্তমান ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ট্রাজেডির পর ১৯৯২ সালে স্থানীয় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে ভবনটি ধ্বসে ব্যাপক প্রাণহানির আশংকায় ভবনটি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেন। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বরিশালের স্বনামধন্য এ্যাডভোকেট আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কলেজ গভার্নিং বডির সাথে যুক্ত থেকে কলেজটি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর বরিশালের আর এক কৃতি সন্তান শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ও সমবায় মন্ত্রী হয়ে বরিশাল সফরে আসলে কলেজের উপাধ্যক্ষ জনাব হোসেন আলী সাহেবের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের দাবীর প্রেক্ষিতে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২-৭৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে নাইট কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল কলেজ রাখা হয়। কলেজটিতে দিবা শাখা চালু হয় এবং নৈশ শাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েট কোর্স চালু করা হয়। ১৯৮৩ সালে অধ্যাপক মোক্তার হোসাইন এর চেষ্টায় আরও একটি বিষয়, ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। ১৯৮৬ সালের ০২ অক্টোবর সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বরিশাল সফরে এলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত জনসভা থেকে বরিশাল কলেজ ও সৈয়দ হাতেম আলী কলেজকে একই সাথে সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ নভেম্বর-১৯৮৬ সালে কলেজটি সরকারিকরণ করে সরকারি বরিশাল কলেজ নামে গেজেট প্রকাশিত হয়। প্রসংগক্রমে উল্লেখ করা প্রয়োজন যেহেতু অশ্বিনী বাবু একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন তাই তাঁর বসত বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালিন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেসরকারি আমলে কলেজের অর্থ সংকটের কারনে তা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। সরকারের প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা সাফ জানিয়ে দেন একই ব্যক্তির নামে দুটি স্থাপনা রক্ষনাবেক্ষণ করা যায় না। অশ্বিনী বাবুর বাটাজোরের বাড়িটি অধিদপ্তর গ্রহণ করেছে সুতরাং আইনী বাঁধা থাকায় এটি আর হবে না। অশ্বিনী ভবনের পুরাতন একটি খাট ও একটি চেয়ার ছিল যা বিএম কলেজের অশ্বিনী মিউজিয়ামে দান করা হয়েছে। ২০০৬ সালে প্রফেসর সত্যরঞ্জণ রায় বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করে কর্মরত শিক্ষকদের সহযোগিতায় ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেন। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। নতুন নতুন শিক্ষক পদ সৃজনসহ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়। কলেজ ক্যাম্পাসের পশ্চিমাংশে চার তলা মাস্টার্স ভবনটি বরিশালের কৃতি সন্তান জননেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এম পি এর অবদান। এক সময় নাইট কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার সুবাদে বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের হাজার হাজার কর্মজীবি ও পেশাজীবি মানুষ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ স্বনামধন্য আইনজীবি, জাতীয় সংসদ সদস্য, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও জনপ্রতিনিধি এ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব জনাব নাসিরুজ্জামান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরের যুগ্ম সচিব জনাব সাহাবউদ্দিন, যুগ্ম সচিব দিলোয়ার হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহিদ হোসেন মুন্সী বরিশাল কলেজের কৃতি ছাত্র। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাংসদ মোশাররফ হোসেন মঙ্গু, নাজিম উদ্দীন আলম, মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, সাবেক মেয়র ও হুইপ মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরগুনা-২ আসনের বর্তমান সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান লিমন বরিশাল কলেজের স্বনাধন্য শিক্ষার্থী। ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের বরিশাল মহানগর সভাপতি এ্যাডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর (ভিপি জাহাঙ্গীর) কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভি পি, বরিশাল বার এর সিনিয়র আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো. আফজালুল করিম ছাত্র সংসদের সাবেক জি এস, সিনিয়র আইনজীবি এ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন নেগাবান বর্তমান পি পি, সুপ্রীম কোর্ট বারের আইনজীবি বর্তমান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট এফ আর খান বরিশাল কলেজের কৃতি ছাত্র ছিলেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহোদয় তাঁদের পরিবারের ঐতিহ্য অনুসরণ করে সর্বদা এ কলেজটির সার্বিক উন্নয়ন তথা পরিবেশ সুন্দর রাখতে ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর রাখেন এবং কলেজের পক্ষ থেকে যে কোন সহযোগিতা চাওয়া হলে তাৎক্ষণিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। মাত্র তিন একর সম্পত্তির উপর কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০৩৬৪.১৬ বর্গফুটের এল প্যাটার্ন চার তলা ভবনে রয়েছে ২২ টি শ্রেণি কক্ষ, প্রশাসনিক দপ্তর, পাঁচটি অত্যাধুনিক ল্যাব, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, প্রতিটি বিভাগে প্রয়োজনীয় পুস্তকসমৃদ্ধ সেমিনার, বিভাগীয় দপ্তর, অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক কমনরুম, ছাত্র সংসদের জন্য আলাদা ভবন, সাইকেল গ্যারেজ, শহীদ মিনার, অডিটোরিয়াম, খেলার মাঠ ও নিজস্ব সুরম্য একটি মসজিদ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সুষ্ঠু একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। বি.এন.সি.সি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আছে একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। যার মধ্যে অশ্বিনী কুমার সাংস্কৃতিক সংগঠন উল্লেখযোগ্য। অভ্যন্তরীণ, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ড ও কর্মসূচীতে অংশগহণ কলেজ ঐতিহ্যের অংশ। ইতোমধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের পূর্বাংশে বিজ্ঞান শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করা যায় শীঘ্রই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর নাসির উদ্দিন সিকদার শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। সর্বপরি, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবধি যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, শ্রম, ভালবাসা ও আর্থিক সহযোগিতায় কলেজটি ছোট্ট পরিসর থেকে আজ বৃহত্তর মর্যাদায় আসীন হয়েছে তাঁদের সকলের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। কারও একক প্রচেষ্টায় নয়। অনেকেরই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এই মহতী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি বরিশাল কলেজ, বরিশাল আজ দক্ষিণ বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ অঞ্চলের মানুষের সম্পদ । যাদের কর্ম প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠান, তাঁদের অনেকেই আজ আর নেই এই শ্যামল সুন্দর পৃথিবীতে। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এ কলেজ তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে যুগ যুগান্তর।